সরিষার তেল MUSTERD OIL (৫ লিটার)
সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। একসময় গ্রামবাংলার একমাত্র ভোজ্যতেল ছিল সরিষার তেল।
এর ঔষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এ তেল।
সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও।
দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল প্রয়োজন হয়। যার বেশির ভাগই সয়াবিন ও পামওয়েল। ভোজ্যতেলের বিপুল চাহিদার বিপরীতে অভ্যন্তরীণভাবে মেটানো হয় ১০ শতাংশের মতো । যার ৯৮ ভাগই সরিষার তেল। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখাসহ আমদানি নির্ভরতা কমাতে চাহিদার ৪০ শতাংশ ভোজ্যতেল স্থানীয়ভাবেই উৎপাদনের লক্ষ্যে সরিষা আবাদ বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সরিষার তেলের উপকারিতা:
☘️সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার তথা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে;
☘️সরিষার তেলে উপস্থিত গ্লুকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে;
☘️সরিষার তেলের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ব্যকটেরিয়া ও ছত্রাকের ক্ষতিকারক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে;
☘️সরিষার তেলে থাকা ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটিঅ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়;
☘️সরিষার তেলে রয়েছে কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ (হাড়ের রোগ) কমানোর পাশাপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে;
☘️সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে;
☘️সরিষার তেলের ঝাঁঝালো উপাদান শ্লেষ্মা এবং অবরুদ্ধ সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে;
☘️রান্নায় সরিষার তেল সয়াবিন তেলের থেকে কম পরিমাণে লাগে। এতে শরীরে ক্যালরি বাড়ার আশঙ্কাও কমে যায়;
☘️এ তেলের রয়েছে উচ্চমাত্রার স্মোক পয়েন্ট, যা বেশি তাপমাত্রার রান্নার জন্য উপযোগী।
করোনাভাইরাস মহামারী আমাদেরকে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আরও বেশি সতর্ক করে তুলেছে। সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রান্নায় সরিষা তেলের ব্যবহার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আশ্চর্যজনকভাবে। সে সাথে সরিষার তেলের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে, সাশ্রয় হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা।
‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরিষার তেল খান। দেশের উৎপাদিত তেল ব্যবহার করে আমদানি নির্ভরতা কমান।’